
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা মনিপুর বাজার, হোতাপাড়া এলাকায় বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে দেয়া প্রায় ১২০০শ বাড়ীর দুই হাজার অবৈধ চুলায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ এর নেতৃত্তে অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন বিচ্ছিন্নকরণে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ ৬ জনকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একজনকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানাও ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। এবং ৬টি পয়েন্টে ২.০কিলোমিটার এলাকার ১ও ২ ব্যাসের ৪০০ মিটার পাইপ লাইনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৪০০শ বাড়ীর ৭০০শ অবৈধ চুলায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এদিকে স্থানীয় হাজী আলমাস কাজীর কলোনীতে অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করতে গেলে কলোনীর লোকজন তিতাস গ্যাস গাজীপুর আঞ্চলিক অফিসের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফের উপর হামলা চালিয়ে তাকে আটক করে রাখা হয়। পরে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে কলোনীর তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে।
তিতাস গ্যাস গাজীপুর জোনাল বিপণন অফিস-জয়দেবপুর এর উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকায় কতিপয় অসাধু লোকজনের সহযোগিতায় এলাকাবাসী অবৈধভাবে বাসা বাড়ীতে গ্যাস ব্যবহার করছিল। এর আগেও কয়েকবার উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্ত স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী লোকজন আবারো এলাকাবাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে গ্যাস সংযোগ প্রদান করে। খবর পেয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন এর সহযোহিতায় বৃহস্পতিবার উক্ত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।
স্থানীয় মহসিনের স্ত্রী মুক্তা বেগমকে ২ লাখ টাকা, শাহ আলমকে ৫০ হাজার টাকা, মনিপুর বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আলমের স্ত্রী সুবিনা বেগমকে এক লাখ টাকা, আলমের মা আনোয়ারা বেগমকে এক লাখ টাকা এবং আজাদকে ৫০ হাজার টাকা, সিরাজুল ইসলামকে তিন মাসের জেল ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ বলেন, যারা অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করেছেন যারা গ্রামের সাধারণ মানুষকে গ্যাসের প্রলোভন দেখিয়ে অনাকাংক্ষিত ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনা দিকে ঠেলে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং এখন থেকে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিতভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

